
কথায় কথায় রাস্তায় নামলে সংঘর্ষ অনিবার্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সংঘাতমুখী রাজনীতি দেখতে চায় না, তারা চায় স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ।’
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে ‘ট্রেস কনসালট্যান্সি’।
আমীর খসরু বলেন, ‘প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে, তবে কথায় কথায় রাস্তায় নামলে তার পরিণতি ভালো হয় না। একটি দল যদি রাস্তায় নামে, অন্য দলও প্রতিক্রিয়ায় রাস্তায় নামবে—তাহলে সংঘর্ষ হবেই। এজন্যই তো আমরা সংঘাতের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি, শেখ হাসিনার বিদায়ের পরও সেই পুরোনো সংস্কৃতিতে ফিরলে কোনো লাভ নেই।’
যদিও বিএনপি নেতা কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে গণভোট আগে করার দাবিসহ পাঁচ দফা আন্দোলনে রাজপথে থাকা জামায়াতে ইসলামীর দিকেই তার ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপির নেতারা জামায়াতের এসব কর্মসূচিকে নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
গণভোট প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বর্তমান সরকার সংবিধানের আলোকে গঠিত। সেই সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই। গণভোট করতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে প্রয়োজনীয় আইন পাস করতে হবে—এরপরই তা সম্ভব।’ তিনি মনে করেন, এসব দাবি আসলে নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল।
সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদের উপস্থিতিতে আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি এখন একধরনের অবসেশনে ভুগছে। অনেক রাজনীতিবিদ ব্যক্তিগত মনমানসিকতা থেকে ইস্যু তৈরি করছেন, যা ঐকমত্যের পথে বাধা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে পরিমাণ ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে নতুন ইস্যু তোলা মানে সেই ঐকমত্যকে অগ্রাহ্য করা। রাজনৈতিক বাস্তবায়নেও ঐকমত্য বজায় রাখতে হবে।’
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খান, আর সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।
পাঠকের মন্তব্য