![]()
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদন করতে গেলে ডায়বেটিসসহ কিছু নির্দিষ্ট রোগ থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের সময় শুরু হওয়া চিকিৎসা ব্যয় কমানোর নীতির অংশ হিসেবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হার্টের রোগ, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, ক্যানসার, মেটাবলিক রোগ, স্নায়বিক রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ভিসা আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘পাবলিক চার্জ’ বা অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে উঠতে পারেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষয় করতে পারেন—এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খরচ বহন করার সামর্থ্য যাচাই করা হবে।
আগে শুধু সংক্রামক রোগ, টিকার ইতিহাস ও মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করা হতো। এবার ডায়বেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুসের সমস্যা, ক্যানসার, স্নায়বিক ও মেটাবলিক রোগও শর্তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, ফলে আবেদন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভিসা যাচাইয়ের সময় আবেদনকারীর চিকিৎসা-সংক্রান্ত সক্ষমতা ও আর্থিক সামর্থ্য বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করতে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতিও বিবেচনা করা হবে, যেমন সন্তান বা প্রবীণ অভিভাবকের দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা বিশেষ যত্নের প্রয়োজন আছে কিনা।
পাঠকের মন্তব্য