![]()
রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)—যেখানে প্রতিদিন হাজারো রোগী, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও কর্মী চলাফেরা করেন—সেই হাসপাতালে হঠাৎ আগুন লাগায় মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুততম পদক্ষেপে মাত্র ১৮ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, যা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে সবাইকে রক্ষা করেছে।
ক্লাসের করিডোরে হঠাৎ ধোঁয়া—মুহূর্তেই দৌড়াদৌড়ি
আজ বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে হাসপাতালের এ ব্লকের ৪র্থ তলায় ডেন্টাল বিভাগের শ্রেণিকক্ষের সামনে সিঁড়ির করিডোরের সিলিং থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তেই শিক্ষার্থী, রোগী ও কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অনেকে দ্রুত নিচে নেমে আসেন, আবার অনেকে অন্যদের নিরাপদ স্থানে যেতে সাহায্য করেন।
যদিও আগুনের উৎস ছিল সীমিত এলাকায় এবং বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়েনি, তবু একটি হাসপাতালের ভেতরে অগ্নিকাণ্ড মানেই প্রচণ্ড ঝুঁকি—কারণ সেখানে রোগী, ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বহু সংবেদনশীল উপাদান থাকে।
“ছয় মিনিটে সাতটি ইউনিট পৌঁছে যায়”—ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিসের ইনস্পেক্টর (মিডিয়া সেল) আনোয়ারুল ইসলাম জানান,
“বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে আমরা খবর পাই। ছয় মিনিটের মধ্যেই আমাদের সাতটি ইউনিট পৌঁছে যায়। ১১টা ৩২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”
ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি ও দ্রুত সমন্বয়ের কারণে আগুন বিস্তার লাভ করতে পারেনি, যা একটি হাসপাতালের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।
হতাহতের ঘটনা না থাকায় স্বস্তি
এই ঘটনায় কোনো রোগী, শিক্ষার্থী বা কর্মী হতাহত হননি—এটাই বড় স্বস্তির বিষয়। হাসপাতালের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ভবনের নির্দিষ্ট অংশ খালি করে ফেলা হয় এবং সবাই নিরাপদে বাইরে চলে আসেন।
যদিও আগুন ছোট আকারের ছিল, তবু হাসপাতালের সিলিংয়ের ভেতরে আগুন লাগার ঘটনা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে এনেছে।
বাস্তবতার মুখোমুখি: চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার জরুরি
দেশের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিকিৎসা সেবার কেন্দ্র হওয়ায় এমন স্থাপনায় অগ্নি–নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবসময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা উচিত। আজকের এই ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে—দ্রুত প্রতিক্রিয়া কত বড় বিপদ ঠেকাতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য