
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন ঘোষণা করা হবে, জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আরও দেরি হবে না। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন এটি ঘোষণা হয়ে যাবে এবং সময়মতো তা জনগণ জানতে পারবেন।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এতে সকাল ও বিকেল দুই ভাগে ৮১টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়। এই সময়কালে তারা একটি জাতীয় নির্বাচন এবং অন্তত চারটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন, এক মাসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন এবং দ্বিবার্ষিক একটি প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়। এসব প্রতিবেদন কমিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবে অতীত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন থেকে খুব বেশি উপকার পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা ২১ বছর করা হয়েছে, কিন্তু তরুণদের অভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই বড় চ্যালেঞ্জ হলো—কিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়টিও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন; তা হলো নিরপেক্ষতা। পর্যবেক্ষকদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা পর্যবেক্ষকদের জানা প্রয়োজন। যেমন—নিবন্ধন বাতিলের কারণ, কোনো অভিযোগ এলে তদন্তের নিয়মাবলি এবং তা কীভাবে নিষ্পত্তি হয়। এগুলো জানা থাকলে ভুলভ্রান্তি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
পাঠকের মন্তব্য