![]()
টানা ২২ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি শিশু সাজিদকে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট গ্রামে মায়ের পেছনে হাঁটতে গিয়ে শিশুটি পড়ে যায় একটি গভীর নলকূপে—যার নিচে প্রায় ৫০ ফুট পর্যন্ত সরে গেছে সে। বুধবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া অভিযান আজ সকাল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। নলকূপের পাশেই গর্ত করে সুড়ঙ্গ তৈরি করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার পাশাপাশি তিনটি মাটি কাটার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধার কাজে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও তানোরসহ আশপাশের এলাকা থেকে আটটি ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। সর্বশেষ ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এরপর সুড়ঙ্গের ভেতরে ক্যামেরা ঢুকিয়ে শিশুটিকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।
রাতভর তুলনামূলকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যেই উদ্ধার কাজ চললেও সকাল থেকে আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষের ভিড় ও হট্টগোলে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ইউএনও উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা করছেন।
এদিকে ঘটনাস্থলের পাশে রাত কাটিয়েছেন সাজিদের মা-বাবা ও স্বজনেরা। দিশেহারা মায়ের চোখে অঝোর কান্না, আশপাশের লোকজনের একটাই প্রার্থনা—শিশুটিকে যেন জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা যায়।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান,
“শিশুটিকে অক্ষত উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। গতকাল বিকাল থেকে সার্চ ক্যামেরা ব্যবহার করে শিশুটির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় ৩৫ ফুট পর্যন্ত টানেল করা হয়েছে, তবে এখনও শিশুটিকে দেখা যায়নি। প্রয়োজন হলে আরও গভীরে খনন করে অনুসন্ধান চালানো হবে।”
উদ্ধারকাজ এখনো চলছে, শিশুটিকে জীবিত পাওয়ার আশা ছাড়ছেন না কেউ।
পাঠকের মন্তব্য