
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও উন্নয়ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ব্যাংককে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) ও থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি)-এর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ এসকাপে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী। আইটিডি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক সুপাকিত চারনকুল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় থাই দূতাবাসের ডিপুটি চিফ অব মিশন সুপাওয়াদি, বিএফটিআই’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর সারোয়ার আহমেদ সালেহীন ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. সামাউন খালিদ।
চুক্তি অনুযায়ী, বিএফটিআই ও আইটিডি শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও নীতি বিশ্লেষণ খাতে যৌথভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি উভয় প্রতিষ্ঠান সেমিনার, কর্মশালা, গবেষণা কার্যক্রম ও একাডেমিক জ্ঞান বিনিময় করবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, এই সহযোগিতা দুই দেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নে গতি আনবে। তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অংশীজনদের নিয়ে যৌথ সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব দেন।
বিএফটিআই’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই এমওইউ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি জ্ঞান বিনিময়, যৌথ গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
আইটিডি’র নির্বাহী পরিচালক সুপাকিত চারনকুল বলেন, ভবিষ্যতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও নীতি গবেষণায় আরও নিবিড় সহযোগিতা গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য।
বিএফটিআই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, আর আইটিডি থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা, যা জাতিসংঘের ইউএনসিটিএডি’র সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত।
পাঠকের মন্তব্য