![]()
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মানবিক বন্ধন, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দুই দেশের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে এ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে জানানো হয়—ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানানোর জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল অনুযায়ী শেরিং টোবগেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়, যা দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান—এ সফর বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে দুই দেশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে—
১) স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা,
২) ইন্টারনেট সংযোগ উন্নয়ন।
এই দুটি চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের জীবনমান, প্রযুক্তিগত সংযোগ এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে উভয় পক্ষ।
সফরকালে শেরিং টোবগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। অর্থনীতি, আঞ্চলিক বাণিজ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা—বিভিন্ন ইস্যু ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। এছাড়া তিনি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা, উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠকে অংশ নেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের নতুন পর্ব হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তারা মনে করছেন—বাংলাদেশ ও ভুটান পরস্পরের উন্নয়নে সহযাত্রী হতে পারে, বিশেষ করে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে।
সফর শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে শুভ কামনা জানিয়ে বাংলাদেশ আশা করছে—দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামীতেও আরও দৃঢ় হবে।
পাঠকের মন্তব্য