![]()
সম্প্রতি কয়েক দফা ভূমিকম্পের পর রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০০টি ভবন শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। গতকাল ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রাজউকের আয়োজনে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ভবন নির্মাণে নকশা ও নিয়ম অমান্যের দায় ভবন মালিক ও রাজউক দু’পক্ষেরই থাকলেও মূলত দায়ী ভবন মালিকরা। তিনি দাবি করেন, রাজউকে অর্থের বিনিময়ে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ীই সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও বলেন, রাজউক কোনো ভবনের নির্মাণ পরিকল্পনা তৈরি করে না; বরং বাড়ির মালিকরাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্টের তৈরি করা নকশা রাজউকে জমা দেন। পরে সেই নকশা না মানলে জরিমানা বা শাস্তি মালিকদের দেওয়া উচিত—রাজউকের নয়।
তবে সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করায় নগর ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
সেমিনারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় ছয় মাস থেকে এক বছরের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ঝুঁকি নিরূপণে সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সার্ভের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে রাজউকের ক্ষমতা দ্রুত বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে সরকার।
পাঠকের মন্তব্য