
ভেনিজুয়েলায় সামরিক হামলার কোনো পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে নৌবাহিনীর আটটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে এবং পুয়ের্তো রিকোতে পাঠিয়েছে রাডার এড়িয়ে চলতে সক্ষম এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। এছাড়া একটি বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপও ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই পদক্ষেপ মাদক চোরাচালান দমনের অংশ, সরকার পরিবর্তনের প্রস্তুতি নয়।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে ভ্রমণের সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “না, ভেনিজুয়েলায় হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একই বক্তব্য দেন।
মিয়ামি হেরাল্ডের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে রুবিও তা “ভুয়া খবর” বলে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬২ জনকে হত্যা করে এবং ১৪টি নৌযান ধ্বংস করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযান অনেক ক্ষেত্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শামিল।
এদিকে, মার্কিন বোমারু বিমান বি-৫২ ও বি-১বি মডেলের উপস্থিতিতে ভেনিজুয়েলার উপকূলে উত্তেজনা বেড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন তাঁর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে এবং ‘কৃত্রিম যুদ্ধ পরিস্থিতি’ তৈরি করছে।
পাঠকের মন্তব্য