বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে নতুন আশার সুর তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এনসিপি ১৫০টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে।
জনগণের আন্দোলনের ফসল থেকে উঠে আসা প্রার্থী
তিনি জানান, এনসিপি থেকে যেসব প্রার্থী আসবেন, তারা কেবল রাজনৈতিক অভিজাত নয়; বরং গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীরাই হবেন মূল শক্তি। আলেম সমাজ, আইনজীবী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, নারী, সাংবাদিক, শ্রমিক, দিনমজুর ও কৃষক—সবাই এই দলে প্রার্থিতার সুযোগ পাচ্ছেন।
এটি এক অর্থে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের প্রচেষ্টা, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠও সংসদে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
প্রতীকের লড়াই
রাজনীতিতে প্রতীক কেবল একটি ছবি নয়, বরং একটি পরিচয়। এনসিপি বরাবরই তাদের প্রতীক হিসেবে শাপলা—লাল বা সাদা—চেয়ে আসছে। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আশা প্রকাশ করেন, এবার তারা কাঙ্ক্ষিত প্রতীক পাবেন। তবে ব্যত্যয় ঘটলে তারা আবারও জনগণের সামনে এসে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।
মানবিক প্রশ্নে নতুন রাজনীতি
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিভাজন ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জর্জরিত। শ্রমিক, কৃষক বা দিনমজুররা প্রায়ই হয়ে পড়েন এই দ্বন্দ্বের বলি। এনসিপির প্রতিশ্রুতি—তারা এসব সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় সংসদে তুলে ধরবে।
একজন নারী শ্রমিক হয়তো ভাবছেন, সংসদে এমন কেউ থাকুক যিনি তার ন্যায্য মজুরি ও নিরাপত্তার কথা বলবেন। এক কৃষক আশায় বুক বাঁধছেন, হয়তো এবার কেউ তার ফসলের ন্যায্যমূল্যের পক্ষে দাঁড়াবেন। এনসিপি সেই আশার প্রতীক হয়ে উঠতে চাইছে।
উপসংহার
বাংলাদেশের নির্বাচন শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং এটি জনগণের জীবন-জীবিকার প্রশ্ন। এনসিপি যদি সত্যিই তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগণের কণ্ঠস্বরকে সামনে আনে, তবে রাজনীতিতে একটি মানবিক মোড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য