স্টার্টআপ ফান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ৫২টি অংশীদার ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি ইক্যুইটি বা মূলধন বিনিয়োগ কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা পাবেন।
কোম্পানি গঠন ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিল
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আয়োজিত সভায় কোম্পানি গঠনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ কোম্পানি গঠনের পর বিভিন্ন ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের একটি অংশ সরাসরি উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় ইতিমধ্যে ১৬টি তফশিলি ব্যাংক ও ৪টি ফাইন্যান্স কোম্পানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিও অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সভায় অংশগ্রহণ ও চুক্তি স্বাক্ষর
সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, এবং উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, এবং ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
উদ্যোক্তাদের সুবিধা
চুক্তি অনুযায়ী:
-
স্টার্টআপ উদ্যোক্তারা এখন বিভিন্ন ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা পাবেন।
-
ঋণ সুবিধা চলতি ও মেয়াদি পর্যায়ে প্রদান করা হবে।
-
নতুন সার্কুলারের আওতায় ঋণ সীমা ২ কোটি থেকে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতিতে স্টার্টআপের গুরুত্ব
সভায় বলা হয়, স্টার্টআপ খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ জুলাই একটি মাস্টার সার্কুলার প্রণয়ন করেছে, যা স্টার্টআপ খাতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা ও ঋণ প্রক্রিয়া জোরদার করতে সহায়ক হবে।
পাঠকের মন্তব্য