হলিউডের ভয়ংকর ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দ্য কনজ্যুরিং’ ফিরে এসেছে নবম কিস্তি নিয়ে। চার বছরের বিরতির পর এবার দর্শকরা পাবেন ‘দ্য কনজ্যুরিং: লাস্ট রাইটস’। ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও দর্শকরা ভৌতিক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
সিনেমার প্রেক্ষাপট ও অভিনেতারা
মাইকেল শ্যাভস পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করেছেন:
-
প্যাট্রিক উইলসন এবং ভেরা ফার্মিগা – প্যারানরমাল তদন্তকারী এড ও লরেন ওয়ারেনের চরিত্রে
-
মিয়া টমলিনসন ও বেন হার্ডি – সহায়ক ভূমিকায়
শ্যাভস পূর্বের ছবিটি থেকে ফের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন, আর প্রযোজক হিসেবে ফিরে আসেন জেমস ওয়ান ও পিটার সাফরান।
이번 ছবিটি ১৯৮৬ সালের পেনসিলভানিয়ার স্মার্ল পরিবারের আলৌকিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। পরিবারটি তাদের বাড়িতে একাধিক শয়তানের আক্রমণ, অদ্ভুত গন্ধ, বিপজ্জনক আওয়াজ, কালো ছায়া ও শারীরিক আঘাতসহ নানা অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখীন হয়। জ্যাক এবং জ্যানেট স্মার্ল তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনেন, যা সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং তারা একটি বইও লিখেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কনজ্যুরিং: দ্য ডেভিল মেইড মি ডু ইট’ ছবিটি করোনা মহামারির মধ্যেও আশাতীত সাফল্য অর্জন করেছিল। এরপর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছিল। শ্যাভস আশা প্রকাশ করেছিলেন যে এই নবম কিস্তি ওয়ারেনদের নতুন অধ্যায় খুলে দেবে।
অভিনেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, দর্শকদের মধ্যে ভয় ও উত্তেজনা তৈরি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি
ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের গল্পগুলোকে সংযুক্ত করে, ‘দ্য কনজ্যুরিং: লাস্ট রাইটস’ নতুন এক মাত্রা যুক্ত করছে। দর্শকরা আগের কিস্তির ধারাবাহিকতায় আরও গভীর ভৌতিক অভিজ্ঞতা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য