ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চারটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারদর এবং লেনদেনের পরিমাণে সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নোটিশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো
ডিএসই যে চারটি কোম্পানিকে নোটিশ দিয়েছে, সেগুলো হলো—বাংলাদেশ ফাইন্যান্স (Bangladesh Finance), হামি ইন্ডাস্ট্রিজ (Hami Industries), এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস (S Alam Cold Rolled Steels) এবং ফাইন ফুডস (Fine Foods)।
ডিএসইর প্রশ্ন
নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে—শেয়ারদর ও লেনদেন বেড়ে যাওয়ার পেছনে কোনো অঘোষিত মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য (Price Sensitive Information – PSI) রয়েছে কি না। যেমন—বড় কোনো চুক্তি, আর্থিক অবস্থায় পরিবর্তন বা পরিচালনা পর্ষদে রদবদল।
কোম্পানিগুলোর প্রতিক্রিয়া
চারটি কোম্পানিই ডিএসইকে জানিয়েছে, তাদের শেয়ারদর বৃদ্ধির পেছনে কোনো অঘোষিত তথ্য নেই। তারা দাবি করেছে, এটি সম্পূর্ণরূপে বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার প্রভাব।
সাম্প্রতিক দামের পরিবর্তন
-
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স: ২৭ আগস্ট ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে ১০ টাকা ৯০ পয়সা।
-
এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস: ৭ সেপ্টেম্বর ১৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৮০ পয়সা।
-
হামি ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফাইন ফুডস: উভয়ের শেয়ারদর তুলনামূলক নিম্ন অবস্থান থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতামত
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেয়ারের দামে হঠাৎ বড় ধরনের ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। তাই ডিএসইর নোটিশ বাজারে স্বচ্ছতা বাড়ানোর পাশাপাশি সম্ভাব্য অনিয়ম প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ
-
হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি দেখে বিনিয়োগ না করে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও ডিএসইর ঘোষণা যাচাই করা উচিত।
-
শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদী দামের ওঠানামা দেখে সিদ্ধান্ত নিলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।
-
প্রয়োজনে ব্রোকার বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ নেওয়া নিরাপদ।
উপসংহার
ডিএসইর পদক্ষেপ বাজারে আস্থা তৈরিতে সহায়ক। যদিও কোম্পানিগুলো অঘোষিত তথ্য থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকা এবং অফিসিয়াল ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি।
পাঠকের মন্তব্য