প্রায় বিশ মাস আগে দোহাজারি–চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিমি রেলপথ চালুর সময় যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আধুনিক লজিস্টিক হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখনো সেখানে কোনো কার্গো সেবা শুরু হয়নি।
প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা
প্রকল্পের ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। উদ্বোধনের সময় আশা করা হয়েছিল, মাছ, লবণ, পান, পটাসহ কৃষিপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে রেলে পরিবহন হবে এবং বছরে ৪৪২ কোটি টাকার রাজস্ব আসবে—যার মধ্যে ৫০ কোটি টাকার আয়ের উৎস ছিল কার্গো। কিন্তু প্রথম বছরে আয় হয়েছে মাত্র ৮০ কোটি টাকা, আর কার্গো আয়ের কোনো অংশই আসেনি।
ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
কার্গো না থাকায় প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০ ট্রাক চট্টগ্রাম–কক্সবাজার সড়কে চলছে। এতে রাস্তায় চাপ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা এবং লবণবাহী ট্রাকের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কার্গো সেবা চালু হলে পরিবহন খরচ কমবে এবং সড়কের চাপও হ্রাস পাবে।
কেন শুরু হয়নি?
রেল সূত্র ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্গো টার্মিনাল, লোডিং-আনলোডিং অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত মালবাহী ভ্যাগন না থাকাই মূল বাধা। পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী বিলম্বও কার্গো চালুর পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্ভাবনা ও করণীয়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কার্গো সেবা চালু হলে কক্সবাজার শুধু পর্যটন নয়, বরং দক্ষিণাঞ্চলের একটি পূর্ণাঙ্গ লজিস্টিক হাবে পরিণত হতে পারে। এজন্য দ্রুত কার্গো টার্মিনাল স্থাপন, বেসরকারি অংশীদারিত্ব উৎসাহিত করা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।
পাঠকের মন্তব্য