যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসাধারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন এখন বৈধ ভিসাধারীদের তথ্য নতুন করে যাচাই-বাছাই করার কাজ শুরু করেছে। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বিদেশি যাদের কাছে বৈধ ভিসা রয়েছে, তাদের ওপর নজরদারি চলছে। যদি কোনো ব্যক্তি ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেন বা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন, তবে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশিদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা ভিসা নিয়মের লঙ্ঘনকারী বা যোগ্য না হওয়া ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল করতে পারে এবং তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিতে পারে।
তারা আরও জানায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকে, অথবা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করার মতো বিষয়ও।
এছাড়া, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন দমনে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। গত কয়েক বছরে বৈধ ভিসাধারী অভিবাসীরাও নানা কারণে প্রশাসনের বিরুদ্ধে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ট্রাকচালকদের জন্য ভিসা বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়েছেন যে, আপাতত বিদেশি ট্রাকচালকদের জন্য কোনো কর্মভিসা দেওয়া হবে না। তাদের কাজের কারণে স্থানীয় চালকদের জীবন বিপন্ন এবং দুর্ঘটনা ঘটছে, এমন যুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ইংরেজি ভাষায় কথা বলার শর্ত কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছিল।
নতুন বিধিনিষেধ ও নজরদারি
মার্কিন প্রশাসন ভিসা আবেদনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অভিবাসন রেকর্ড এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তথ্যও যাচাই করে। ভিসা আবেদনকারীদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রাইভেসি সেটিংসও পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এভাবে অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন বিধিনিষেধের কারণে ভিসা এখন “সোনার হরিণ” হয়ে উঠছে, এবং অনেকেই তাদের ভিসা হারিয়ে ফেলছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের ফলে গত কয়েক বছরে ৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার কারণে বাতিল হয়েছে ২০০-৩০০ ভিসা।
পাঠকের মন্তব্য