বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একাধিক নতুন পদক্ষেপ ও বিদ্যমান চুক্তির পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে খরচ সাশ্রয়ী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতাভিত্তিক পেমেন্ট ধারা বাতিল ও ‘কুইক রেন্টাল আইন’ বাতিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, আগের সরকার গ্যাস আমদানিতে জোর দিলেও বর্তমান সরকার নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান বাড়াতে বাপেক্সকে তহবিল দিয়েছে। জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ১০% কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা বছরে এক হাজার একশ’ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় করবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, সরকারি মালিকানাধীন ২৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার মেগাওয়াট, যেখানে চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট।
সংস্কারের ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে মহানগর এলাকায় বিতরণ লাইন ও সাবস্টেশন ভূগর্ভস্থ করার কাজ চলছে।
এছাড়া নেপালের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালে ৪০ মেগাওয়াট সাশ্রয়ী মূল্যের জলবিদ্যুৎ আমদানি হবে এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে।
পাঠকের মন্তব্য