একটি সফল ক্যারিয়ারের পেছনে থাকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। তবে শুধু “ভালো কিছু করতে চাই” বললে হয় না—জরুরি হলো সেই লক্ষ্যটি SMART পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা।
SMART Goal কী?
SMART একটি অ্যাক্রোনিম, যার প্রতিটি অক্ষর একটি কার্যকর লক্ষ্য নির্ধারণের মূল বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে:
-
S – Specific (নির্দিষ্ট): লক্ষ্য যেন অস্পষ্ট না হয়—স্পষ্ট, কেন্দ্রভিত্তিক ও বোঝার মতো হয়।
-
M – Measurable (পরিমাপযোগ্য): আপনার অগ্রগতি কীভাবে পরিমাপ করা যাবে, সেটি নির্ধারণ করুন।
-
A – Achievable (অর্জনযোগ্য): লক্ষ্য যেন বাস্তবসম্মত হয় এবং আপনার বর্তমান সামর্থ্যের মধ্যে থাকে।
-
R – Relevant (প্রাসঙ্গিক): লক্ষ্যটি যেন আপনার ক্যারিয়ার বা ব্যক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়।
-
T – Time-bound (সময়সীমাবদ্ধ): একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে লক্ষ্যটি অর্জনের পরিকল্পনা থাকতে হবে।
ক্যারিয়ারে SMART লক্ষ্য প্রয়োগের ক্ষেত্র
পড়াশোনা: GPA বাড়ানো, নির্দিষ্ট কোর্স সম্পন্ন করা, স্কলারশিপ পাওয়া
স্কিল ডেভেলপমেন্ট: নির্দিষ্ট সফট স্কিল বা টেকনিক্যাল স্কিল শেখা
চাকরির লক্ষ্য: নির্দিষ্ট পদে/কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা
প্রমোশন: দায়িত্ব বাড়ানো, লিডারশিপ নেওয়া, পারফর্মেন্স টার্গেট পূরণ
বাস্তব উদাহরণ
ফারহান – একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট
লক্ষ্য: ৬ মাসের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে চাকরি পাওয়া
SMART বিশ্লেষণ:
-
S: ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদ
-
M: ২০টি আবেদন, ১০টি ইন্টারভিউ
-
A: একটি অনলাইন কোর্স ও ২টি প্রজেক্ট সম্পন্ন
-
R: ফারহানের মার্কেটিং ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে
-
T: ৬ মাস
সাবিহা – একজন মিড-লেভেল প্রফেশনাল
লক্ষ্য: এক বছরের মধ্যে প্রমোশন পাওয়া
SMART বিশ্লেষণ:
-
S: টিম লিড পদে উন্নীত হওয়া
-
M: নেতৃত্বাধীন প্রজেক্ট ও ৯০% ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টি
-
A: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিং কোর্স সম্পন্ন
-
R: প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা
-
T: ১ বছর
উপসংহার: লক্ষ্য ছাড়া ক্যারিয়ার গড়া মানে অন্ধকারে তীর ছোড়া
SMART লক্ষ্য শুধু আপনাকে একটি দিশা দেখায় না, বরং আপনাকে নিজের অগ্রগতি পরিমাপের সুযোগও দেয়।
✔️ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা
✔️ পরিমাপযোগ্য অগ্রগতি
✔️ বাস্তবসম্মত উদ্যোগ
✔️ প্রাসঙ্গিক অভিপ্রায়
✔️ নির্ধারিত সময়সীমা
এই পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়েই গড়ে উঠতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ার।
পাঠকের মন্তব্য