![]()
রাজধানীর মগবাজারে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আট দলের পক্ষ থেকে নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের মন্তব্য করেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে এবং সংস্কারের গুরুত্বকে হ্রাস করছে।
সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের প্রতিক্রিয়ায়। তাহের বলেন, “সরকার একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনজন উপদেষ্টা প্রধানকে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।”
গণভোটের তারিখ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ন
তাহের সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন, যেখানে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তার বক্তব্য, নির্বাচনের আগে গণভোটের আলাদা তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
“নির্বাচন ও গণভোট একদিন করা হলে জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি হবে,” বলেন তিনি।
তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি
সংবাদ সম্মেলনে নাম উল্লেখ না করেই তিনজন উপদেষ্টার অপসারণের দাবি জানানো হয়। তাহের জানান, এই তিনজনের নাম আট দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হবে।
তাহের আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দাবি আদায় না হলে আগামী ১৬ নভেম্বর পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও মানবিক দৃষ্টিকোণ
জামায়াতের নায়েবে আমিরের এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ও সরকারের সাংবিধানিক ভূমিকা নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত নেতারা নির্বাচন ও গণভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে সচেতন করার আহ্বান জানান।
মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, নির্বাচন ও গণভোটের সঠিক সময় নির্ধারণ না হলে সাধারণ জনগণ তাঁদের ভোটাধিকারে ভোগান্তিতে পড়তে পারে। তাই জামায়াতসহ আন্দোলনরত আট দলের দাবিটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠকের মন্তব্য