![]()
১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় সন্তান হিসেবে। রাজনৈতিক ও পারিবারিক দুই উত্তরাধিকারই তার শৈশব-কৈশোরে গড়ে তোলে নেতৃত্ব অর্জনের ভিত্তি।
আড়ম্বরহীন উদযাপনের আহ্বান
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এ বছরও ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি ইউনিটগুলোকে দলীয়ভাবে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেক কাটা, পোস্টার-ব্যানার লাগানো বা উৎসব আয়োজনের পরিবর্তে নেতাকর্মীদের অর্থ সহায়তা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে মানবিক উদ্যোগের জন্য। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—
“জন্মদিনকে উৎসব নয়, মানবিক দায়িত্ব পালনের অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করুন।”
এই আহ্বানটি বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতায় মানবকল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তা বহন করে বলে দলের নেতারা মনে করছেন।
শিক্ষাজীবনে মেধা ও শৃঙ্খলার ছাপ
তারেক রহমানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু ঢাকার সেনানিবাসের শাহীন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে, যেখানে শুধুমাত্র সেনা সদস্যদের সন্তানরাই পড়ার সুযোগ পেতেন। ইংরেজি মাধ্যমধর্মী সেই পরিবেশেই তার শৈশব গড়ে ওঠে।
তিনি এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এবং মাস্টার্স—সব পরীক্ষাতেই কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিষয়ে স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন তার দৃষ্টিভঙ্গিকে বিস্তৃত করে এবং পররাষ্ট্রনীতি ও বিশ্বরাজনীতি বিষয়ে তার বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করে।
রাজনীতিতে হাতেখড়ি ও ধীরে ধীরে বিকাশ
১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায় প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে তারেক রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, গ্রাম-শহরের বাস্তবতা বোঝা এবং সংগঠন গঠন—এ তিনের সমন্বয়ে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য নির্বাচিত হন।
নির্বাচনী কৌশল নির্মাণে সংগঠকের দক্ষতা
তারেক রহমান জাতীয় প্রচারণা কৌশল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার মা বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচটি আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ের দায়িত্ব পান। পাঁচটি আসনেই বেগম জিয়ার বড় জয় শুধু দলের সাফল্য নয়—
একজন সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তারেক রহমানের দক্ষতারও প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন দলীয় নেতারা।
এই সময় থেকেই দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে তাকে দৃঢ়ভাবে দেখতে শুরু করেন কর্মী-সমর্থকরা।
মানবিক মূল্যবোধ ও দলীয় বার্তা
বিএনপি নেতারা মনে করেন তারেক রহমানের রাজনৈতিক পথচলার অন্যতম ভিত্তি মানবিক মূল্যবোধ, সমাজের সাধারণ মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি। জন্মদিনে আড়ম্বর না করে মানবিক কাজের আহ্বানও তাই এই মূল্যবোধেরই ধারাবাহিকতা।
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
পাঠকের মন্তব্য