চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে বা রাখা যায়—সে বিষয়ে তাদের যুগান্তকারী গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়ে সোমবার সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এ ঘোষণা দেয়।
স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক আবিষ্কারের জন্য এ তিন বিজ্ঞানীকে ২০২৫ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নোবেল জুরির ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের গবেষণা ইমিউন সিস্টেমের কার্যপ্রণালী বোঝার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং কেন সবাই গুরুতর অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয় না—তা ব্যাখ্যা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ আবিষ্কার ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দিয়েছে এবং সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও সহায়ক হতে পারে।
৭৪ বছর বয়সী শিমন সাকাগুচি ১৯৯৫ সালে ইমিউন টলারেন্স সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তিনি দেখান, ইমিউন সিস্টেম আরও জটিল এবং এমন এক শ্রেণির কোষ রয়েছে যা দেহকে অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো (জন্ম ১৯৬১) ও ফ্রেড রামসডেল (৬৪) ২০০১ সালে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তারা ‘ফক্সপ৩’ নামক একটি জিন শনাক্ত করেন, যা বিকৃত হলে মারাত্মক অটোইমিউন রোগ ‘আইপিইএক্স’ সৃষ্টি হয়। দুই বছর পর সাকাগুচি তাদের এই আবিষ্কারের সঙ্গে নিজের গবেষণাকে যুক্ত করেন, যা ইমিউনোলজির নতুন অধ্যায় উন্মোচন করে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফের কাছ থেকে তারা নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন। পুরস্কারের মধ্যে থাকবে একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র ও ১২ লাখ মার্কিন ডলারের চেক।
নোবেল মৌসুমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঘোষণা হবে পদার্থবিজ্ঞানে, বুধবার রসায়নে, বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে এবং আগামী সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
পাঠকের মন্তব্য