শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য সারাদেশে বৃহৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে ৩৩,৩৫৫টি পূজামণ্ডপ প্রস্তুত করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১,৮৯৪টি বেশি।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা:
-
পুলিশ ও র্যাব: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও টহল দল মোতায়েন। র্যাব ২৮১টি টহল দল দিয়ে পূজামণ্ডপ ও আশপাশে বিশেষ চেকপোস্ট এবং পেট্রোলিং চালাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
-
বিজিবি: ৪৩০ প্লাটুন সদস্য সীমান্তবর্তী এলাকা ও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ২৪টি বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকা ও পার্বত্য অঞ্চলে ১,৪১১টি পূজামণ্ডপ, সীমান্তের বাইরে ১,৪৪৬টি।
-
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী: সারাদেশে দুই লক্ষাধিক আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম দায়িত্বে থাকবে।
অন্যান্য আয়োজন:
-
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা এবং বিজয়া শোভাযাত্রা আয়োজন করা হবে।
-
দুর্গাপূজা ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। মহাষষ্ঠী দিয়ে শুরু হয়ে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।
উল্লেখযোগ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ ও র্যাব নিশ্চিত করেছে, পূজার সময় কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে এবং ভক্তরা নিরাপদে উৎসব উদযাপন করতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য