ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল অপারেটর রবি ও গ্রামীণফোন বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি সেবা চালু করায় তিনি তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি বাংলাদেশকে ডিজিটাল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সীমিত পরিসরের ফাইভ-জি চালু করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অপারেটর ও রেগুলেটরদের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা যাচাই করার সুযোগ দেয়। তবে প্রকৃত সুবিধা তখনই মিলবে, যখন এটি বৃহৎ পরিসরে শহর ও গ্রামে সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে—সাশ্রয়ী মোবাইল, স্মার্ট ওয়্যারেবল, আইওটি, এআর/ভিআর, রোবোটিক্স, রিমোট সার্জারি ও নেটওয়ার্ক স্লাইসিং এর মতো উদ্ভাবনী ব্যবহার ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি কভারেজ, ক্যাপাসিটি, মবিলিটি ও এক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করতে হবে এবং পুরনো ২জি/৩জি স্পেকট্রাম ফাইভ-জিতে রূপান্তর করতে হবে।
ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের সফল রোল আউটের জন্য ফাইবারাইজেশন দ্রুত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বর্তমান মোবাইল টাওয়ার ফাইবারাইজেশনের হার মাত্র ২০-২২ শতাংশ হলেও নতুন টেলিকম নীতির লক্ষ্য এটি ৮০ শতাংশে উন্নীত করা। অব্যবহৃত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে ন্যাশনাল ফাইবার ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
তিনি রবি ও গ্রামীণফোনের এই যাত্রার সাফল্য কামনা করে বলেছেন, একটি আধুনিক ও ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত বাংলাদেশ গঠনে সরকার রেগুলেটরি সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
পাঠকের মন্তব্য