বিচারপ্রত্যাশী মানুষের সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয়ে সরকারের উদ্যোগ হিসেবে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং এ কাজে অনুদানের ওপর নির্ভর করবে না সরকার—এ কথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডিআর: রোল অব ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটিস ইন ইমপ্লিমেন্টিং নিউ লেজিসলেশন্স’ শীর্ষক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের অর্থের সংকুলান আছে। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এক টাকা অনুদান না পেলেও যতদিন দায়িত্বে আছি কাজ করে যাব এবং এমন ব্যবস্থা করে যাব, যেন আমরা চলে গেলেও মানুষ উপকৃত হন।”
তিনি আরও জানান, লিগ্যাল এইডকে সহজলভ্য করে তুলতে পারলে বিচারপ্রক্রিয়ায় সময় ও খরচ ব্যাপকভাবে কমবে। বর্তমানে লিগ্যাল এইড ব্যবহারকারীদের ৯০ শতাংশই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে দুই লাখ মামলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য