দেশে গত তিন বছরে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশে। প্রতি ৪ জনের একজন এখন উচ্চ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)।
আজ সোমবার রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরে পিপিআরসি। জানানো হয়, দেশের ১৮ শতাংশ পরিবার যেকোনো সময় গরিব হয়ে যেতে পারে।
সরকারি হিসেবে ২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ৫.৬ শতাংশ, যা ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩৫ শতাংশে। একই সময়ে সামগ্রিক দারিদ্র্য ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ।
গবেষণাটি দেশের ৮ হাজার ৬৭টি পরিবার ও ৩৩ হাজার ২০৭ জন মানুষের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, শহরের পরিবারগুলোর মাসিক আয় কমলেও খরচ বেড়েছে; অন্যদিকে গ্রামের পরিবারের গড় আয় সামান্য বেড়েছে।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বটম ২০ শতাংশ বা ৪০ শতাংশ—উভয়ের ক্ষেত্রেই খরচ আয়ের তুলনায় বেশি। এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও একই সমস্যায় ভুগছে।”
গবেষণা অনুযায়ী, একটি পরিবারের মাসে গড়ে ১০ হাজার ৬১৪ টাকা বা মোট খরচের প্রায় ৫৫ শতাংশ ব্যয় হয় শুধু খাবারের জন্য। এ ছাড়া শিক্ষা খাতে গড়ে ১,৮২২ টাকা এবং চিকিৎসায় ১,৫৫৬ টাকা খরচ হয়।
পিপিআরসি শুধু জিডিপি আলোচনার বাইরে গিয়ে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্য হ্রাস ও নাগরিক কল্যাণ বিষয়ক আলোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য