ওয়াশিংটন থেকে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে এগিয়ে না আসেন, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এ খবর জানিয়েছে এএফপি।
ম্যাক্হোঁ জানান, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি এবং তিনি বিশ্বাস করেন প্রেসিডেন্ট পুতিনও শান্তি চুক্তি চান। তবে যদি শেষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে শেষ হয়, আমরা প্রস্তুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতকে লক্ষ্য করে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে। পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে ভারত রাশিয়ার জ্বালানির প্রধান ক্রেতা হিসেবে সামনে এসেছে।
ম্যাক্হোঁ বলেন, “ভারতের ওপর দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার অনেক প্রভাব পড়েছে। এই বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।”
এদিকে, আলাস্কায় আলোচনার জন্য ট্রাম্প পুতিনকে স্বাগত জানানোর মাত্র তিন দিন পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সপ্তাহান্তে ট্রাম্প প্রকাশ্যে আবারও ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড়ার জন্য চাপ দেন। তবে ম্যাখোঁ সাংবাদিকদের জানান, কোনো প্রকার আঞ্চলিক জমি ছাড় বা নিরাপত্তা নীতিমালার শর্তে ইউক্রেনকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ম্যাক্হোঁ আরও বলেন, “ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতের চুক্তিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকারে কোনো সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়। একটি শক্তিশালী ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী অবশ্যই প্রয়োজনীয়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন ‘আগামী দিনে’ পুনরায় সংযোগ স্থাপন করবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্ভবত একটি ত্রি-পক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে, যেখানে ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কি উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্ব মানবিক ও রাজনৈতিক মহলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে যে, যদি রাশিয়া শান্তি চুক্তি না মানে, তাহলে ইউক্রেনের মানুষসহ পুরো অঞ্চলে মানবিক সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ সৃষ্টি করছে যাতে দ্রুত একটি স্থায়ী শান্তি স্থাপিত হয়।