সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকায় আরও ৫০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ জানায়, সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথরের লুটের ঘটনায় প্রশাসনের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনই চলছে উদ্ধার অভিযান। এখন পর্যন্ত গতকাল থেকে প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন,
“গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত পাড়ুয়া-ভাংতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। এখন পর্যন্ত খনিজ সম্পদ ব্যুরোর মামলায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সাদাপাথরে লুটপাটে জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।”
এর আগে, সোমবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার টিলাপাড়া, রঙ্গিটিলা, কান্দিপাড়া ও সালিয়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ধানক্ষেত, বাড়ির উঠান ও পথের ধারে ঘাস-লতাপাতায় লুকানো অবস্থায় রাখা প্রায় ৫ হাজার ১০০ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ
সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে দেশজুড়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসএডি করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকেও বদলি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাদাপাথর লুটপাটের ফলে এলাকার খামার ও সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রশাসনের এই অভিযান এলাকার মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে। তবে তারা আশা করছেন, দ্রুত সমস্ত অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট পুলিশ ও প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সাদাপাথরের অবৈধ খনন ও লুটপাট বন্ধ করা যায় এবং স্থানীয়দের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য