থেমে থেমে বৃষ্টি ও রোদে ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হলেও এখনো তা “মাঝারি” পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর একিউআই (বায়ুদূষণ সূচক) ছিল ৭৮, যা “মাঝারি” হিসেবে শ্রেণিভুক্ত। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ২২তম।
অন্যদিকে, ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং পাকিস্তানের লাহোর বেশ কিছুদিন পর আবারও শীর্ষ পাঁচ দূষিত শহরের তালিকায় উঠে এসেছে। একই সময়ে দিল্লির স্কোর ছিল ১২৭ এবং লাহোরের ১২৮—যা “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর” পর্যায়ে পড়ে। তাদের উপরে অবস্থান করছিল উগান্ডার কাম্পালা (১৩৯), সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (১৫৩) এবং কঙ্গোর কিনশাসা (১৭০)।
এদিন কানাডার টরন্টোর বাতাসেও দূষণ ছিল উল্লেখযোগ্য। ১০৩ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি শীর্ষ সাতের মধ্যে ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য মানদণ্ড অনুযায়ী, একিউআই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা “ভালো” ধরা হয়, ৫০–১০০ হলে “মাঝারি”, ১০১–১৫০ হলে “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর”, ১৫১–২০০ হলে “অস্বাস্থ্যকর”, ২০১–৩০০ হলে “খুব অস্বাস্থ্যকর” এবং ৩০১-এর বেশি হলে “বিপজ্জনক” হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষকের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (CO), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) এবং ওজোন (O₃)।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝারি মানের বায়ু হয়তো তাৎক্ষণিক ক্ষতি করে না, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই পরিচ্ছন্ন বায়ু নিশ্চিত করতে নগর পরিকল্পনা, শিল্পনিয়ন্ত্রণ এবং সবুজায়নে জোর দেওয়া জরুরি।
পাঠকের মন্তব্য