বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানি, আতিথেয়তা ও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা তুলে ধরে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
ডেস্ক রিপোর্ট | কায়রো ও ঢাকা
ডেস্ক রিপোর্ট | কায়রো ও ঢাকা
বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে মিশরের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সম্প্রতি কায়রোতে অনুষ্ঠিত Bangladesh-Egypt Business Networking Session-এ তিনি এই আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের রূপান্তর, পর্যটন অবকাঠামোর সম্প্রসারণ, এবং “সবুজ বাংলাদেশ” গঠনের রূপরেখা।
“বাংলাদেশ কেবল উৎপাদনের জন্য নয়, এখন এটি একটি পরিবেশবান্ধব এবং পর্যটনবান্ধব বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে,” — বলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
‘Green Bangladesh’ নীতি ও বিনিয়োগের সুযোগ
সরকারের Green Growth Strategy-এর আওতায় বাংলাদেশ টেকসই কৃষি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব ভবন, এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তিতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাচ্ছে। এই নীতির অধীনে বিনিয়োগকারীদের জন্য কর রেয়াত, প্রযুক্তি আমদানিতে ছাড় এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সুবিধা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত রিজওয়ানা হাসান UNFCCC Climate Conference, UN Environment Assembly, এবং Asia-Pacific Climate Week-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জলবায়ু সুবিচার ও নারীর অংশগ্রহণের পক্ষে তাঁর অবস্থান দৃঢ় ও সুসংহত।
বাংলাদেশে প্রস্তুত অবকাঠামো: কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
কক্সবাজার ও বান্দরবান: ইকো-ট্যুরিজম, হোটেল ও রিসোর্ট খাতে সম্ভাবনা
পায়রা ও মহেশখালী: বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেন্দ্র
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ: পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা ও ভবন নির্মাণে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
সাভার ও কালীাকৈর হাইটেক পার্ক: সবুজ প্রযুক্তি ও ইনোভেশন সেক্টরের হাব
মিশরীয় উদ্যোক্তাদের প্রতিক্রিয়া:
আহমেদ আল-রাফি, মিশরীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান EcoVita Capital-এর সিনিয়র পার্টনার বলেন:
“বাংলাদেশে সবুজ শক্তি ও ট্যুরিজম খাতে একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা কক্সবাজারে সাসটেইনেবল হোটেল প্রকল্পে আগ্রহী।
বাংলাদেশ এখন শুধু শ্রমনির্ভর অর্থনীতি নয়—এটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রবৃদ্ধির গন্তব্য হিসেবেও পরিচিত হচ্ছে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কৌশলগত কূটনীতি বিদেশি বিনিয়োগের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে, যেখানে জ্বালানি, পর্যটন ও প্রযুক্তির পাশাপাশি পরিবেশও সমান গুরুত্ব পাবে।
সম্পাদকীয় পরামর্শ:
অবশ্যই, নিচে প্রতিবেদনের শেষে “Investment Opportunity in Bangladesh” নামে একটি ইনফো-বক্স বা হাইলাইট অংশ যুক্ত করা হলো, যা ওয়েবসাইটে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য খুবই কার্যকর হবে।
Investment Opportunity in Bangladesh
মূল খাতসমূহ যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে:
পর্যটন ও আতিথেয়তা: কক্সবাজার, বান্দরবান, সুন্দরবন: জমি লিজ, কর রেয়াত, এক্সপ্রেস অনুমোদন
নবায়নযোগ্য জ্বালানি: সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী, পায়রা: প্রযুক্তি আমদানিতে ছাড়, অর্থায়ন সুবিধা
সবুজ অবকাঠামো: ইকো-রিসোর্ট, গ্রীন বিল্ডিং, স্মার্ট সিটি: ব্যাংক সাপোর্ট, পরিবেশ ছাড়পত্র সহজীকরণ
কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ: অর্গানিক ও রপ্তানিমুখী পণ্য: খাদ্য নিরাপত্তা মডিউল, রপ্তানি ইনসেনটিভ
আইসিটি ও হাইটেক: কালীাকৈর, সিলিকন খাত, গ্রিন সফটওয়্যার: হাইটেক পার্কের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ
বিনিয়োগকারীদের জন্য বাড়তি সুবিধা:
১০০% বৈদেশিক মালিকানা অনুমোদনযোগ্য
রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কর অবকাশ
এক্সপ্রেস কোম্পানি নিবন্ধন ও ভিসা প্রক্রিয়া
একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তুত প্লট ও অবকাঠামো
যোগাযোগের ঠিকানা: Bangladesh Investment Development Authority (BIDA)
Website: www.bida.gov.bd
Email: [email protected]