ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে — এদের মধ্যে ৩ জন থাকবেন অস্ত্রসহ, আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন থাকবে। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের অবদান হবে সবচেয়ে বেশি।
এ মন্তব্যটি তিনি আজ (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন।
কীভাবে বিন্যস্ত থাকবেন আনসাররাও থাকছে নতুন ব্যাবস্থা
-
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার দায়িত্বে থাকবেন।
-
৩ জন আনসার থাকবে অস্ত্রসহ (যাদের মধ্যে একজন প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে সরাসরি মোতায়েন থাকবে)।
-
১০ জন আনসার থাকবে অস্ত্রবিহীন — যাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।
-
আনসার সদস্যরা নির্বাচনী কাজে মোট ৯ দিন নিয়োজিত থাকবেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে এই প্রথম একজন অস্ত্রধারী আনসার মোতায়েন করা হচ্ছে — যাতে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ আরও কড়া রাখা যায়।
আনসার সদস্যদের কল্যাণ: নতুন ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস এবং যানবাহন কেনা
উপদেষ্টা বলেন, আনসার বাহিনীর সদস্যদের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার,
-
১৪টি কাভার্ড ভ্যান,
-
৪টি (৪২ আসন) বড় বাস,
-
২টি (২৪ আসন) মিনি বাস,
-
২টি অ্যাম্বুলেন্স।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সদস্যদের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন নিশ্চিত করবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার: চলমান অভিযান
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, দেশের বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান রয়েছে এবং প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। তিনি বলেন, “গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধারের কাজ ততই বাড়বে — এক পর্যায়ে বাইরে আর কোনো বেআইনি অস্ত্র থাকবে না।”
উপসংহার
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ঘোষণায় পরিষ্কার— আনসার ও ভিডিপি বাহিনী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা, শান্তি ও ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রগুলোতে তাদের সঠিক বিন্যাস, কল্যাণমূলক সেবা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জোরদার অভিযান নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে সম্পন্নের লক্ষ্যে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
পাঠকের মন্তব্য