পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ২৭ অক্টোবর থেকে আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। দেশের শিক্ষামন্ত্রী আমাদু সি সাভানে রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওআরটিএমে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১০ নভেম্বর থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পুনরায় চালু হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত এসেছে জ্বালানি সংকটের কারণে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবরোধে ট্যাংকার চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে পেট্রলপাম্পে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে, গণপরিবহন কার্যক্রম এবং মোটরসাইকেল ট্যাক্সি সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজধানী বামাকোর সাধারণত সরগরম রাস্তাগুলো এখন অস্বাভাবিকভাবে নিস্তব্ধ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জ্বালানিসঙ্কটের কারণে স্কুল-কলেজে যেতে পারছেন না। রাজধানীর বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন এবং শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার চেষ্টা করলেও, দেশের অবকাঠামো এবং ইন্টারনেটের সীমাবদ্ধতা এই প্রয়াসকে সীমিত করছে।
মালির সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবিক সংস্থাগুলো দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবরোধ দূর না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘস্থায়ী জ্বালানিসঙ্কট শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার বিপন্ন করতে পারে। তাদের মতে, জরুরি পদক্ষেপ ছাড়া দেশের শিক্ষাব্যবস্থা স্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
পাঠকের মন্তব্য