রোববার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পহেলা নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারবেন। তবে রাত্রিযাপন করা যাবে কি না, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দ্বীপে পর্যটক প্রবেশের দীর্ঘসময় বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেপ্টেম্বর ২০২৪–ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত নেওয়া সিদ্ধান্তে নয় মাসের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল।
দ্বীপে পর্যটক চলাচল বন্ধ থাকায়:
-
পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে
-
পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে জেটিঘাট এখন সুনসান নীরব
-
জাহাজের কর্মচারীরা কর্মহীন সময় কাটাচ্ছেন
পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই পর্যটন লক্ষ্য
সরকার জানিয়েছে, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পর্যটক প্রবেশ সীমিত করা হয়েছিল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বীপটিকে স্থানীয় জনগণকেন্দ্রিক টেকসই পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ চলমান। এর মধ্যে রয়েছে:
-
প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ
-
স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণে পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা
-
পর্যটন অবকাঠামোর উন্নয়ন
এক কর্মকর্তা বলেন,
“আমরা চাই সেন্টমার্টিন হতে বাংলাদেশের একটি পরিচ্ছন্ন ও টেকসই পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় থাকবে এবং স্থানীয়রা উপকৃত হবেন।”
পর্যটক ও স্থানীয়দের প্রত্যাশা
দ্বীপ পুনরায় খোলার খবর পাওয়া মাত্রই পর্যটক এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আশা করছেন, নভেম্বর থেকে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং দ্বীপের পর্যটন খাত পুনরায় সঞ্চলিত হবে।
এক পর্যটক বলেন,
“দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দ্বীপে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় খুব আনন্দিত। আশা করি এখানে টেকসই পর্যটন বজায় থাকবে।”
পাঠকের মন্তব্য