বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরকে ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
শুক্রবার তার ফেসবুক পোস্টে মিলার লিখেছেন,
“জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।”
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন,
“এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে, এবং এই সনদ তারই প্রমাণ।”
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে।
মিলারের উপস্থিতি দেখিয়েছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে সহযোগিতা অব্যাহত রাখছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। সম্প্রতি তারা পুনর্ব্যক্ত করেছে,
“বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”
ইইউ কারিগরি সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও করেছে। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান সংশোধন ও মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন ধারার সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য