বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বড় পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এ সংশোধনী এনে গভর্নরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রস্তাবিত খসড়ায় গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা সরকার থেকে সরিয়ে রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খসড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গভর্নর নিয়োগ দিতে পারেন, কিন্তু সংশোধিত প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীের সঙ্গে পরামর্শ করে গভর্নর নিয়োগ করবেন এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদের সম্মতিও নেওয়া হবে।
এছাড়া গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরের শপথ প্রক্রিয়া, পদমর্যাদা এবং মেয়াদেও পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে। ‘৭২ সালের আইনে গভর্নরের মেয়াদ ৪ বছর থাকলেও তা বাড়িয়ে ৬ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে আইন সংস্কার অপরিহার্য। স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হলে আর্থিক খাত আরও শক্তিশালী হবে।”
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন জানান, অর্ডিন্যান্সের খসড়া প্রস্তুত হলেও চূড়ান্ত রূপ কেমন হবে তা প্রকাশিত অর্ডিন্যান্স দেখলেই বোঝা যাবে।
এই প্রস্তাব কার্যকর হলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন কাঠামো ও নীতির অধীনে কাজ করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে আরও স্বাধীনতা এনে দিতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য