গাজীপুরে নৃশংসভাবে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, তুহিনের গলা, ঘাড়, বুক, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রতিটি আঘাতই সমানভাবে প্রাণঘাতী ছিল।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে পুলিশ এই প্রতিবেদন হাতে পায়। এরই মধ্যে সোমবার (১১ আগস্ট) হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাত আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের মধ্যে শাহজালাল আদালতে দোষ স্বীকার করে বিস্তারিত জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে সকল আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দুলাল চন্দ্র দাস জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। একজন আসামি স্বীকারোক্তিতে পুরো ঘটনাবলি বর্ণনা করেছেন।
৩৮ বছর বয়সী তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতের দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্রে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। তারা হলেন—মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল-আমীন, স্বাধীন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান, এবং সুমন ওরফে সাব্বির। এছাড়া কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার শহিদুলকে অন্য মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডে সাংবাদিক সমাজে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী ও স্থানীয়রা দ্রুত বিচার দাবি করছেন। তুহিনের পরিবার বলছে, “আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই—যাতে আর কোনো পরিবার এভাবে প্রিয়জনকে হারাতে না হয়।”
পাঠকের মন্তব্য