
রাজশাহী রেশম একসময় দেশের গৌরবের প্রতীক ছিল। মুঘল আমল থেকে শুরু করে ইউরোপীয় বাণিজ্যের স্বর্ণযুগ পর্যন্ত এর দীর্ঘ ইতিহাস। ১৯৮০-এর দশকে এখানে ৭৬টি কারখানা চালু ছিল, তবে ১৯৯১ সালে আমদানি শুল্ক কমে যাওয়ায় স্থানীয় চাষ ও কারখানাগুলো বন্ধ হতে শুরু করে। ২০০০-এর দশকের শুরুতে আরও ৫৮টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, এবং ২০০২ সালে সরকার পরিচালিত রাজশাহী রেশম কারখানাও বন্ধ হয়।
বর্তমানে দেশের চাহিদার মাত্র ১০% সুতাই দেশীয় উৎপাদিত। বাংলাদেশ সেরিকালচার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড রাজশাহীতে একমাত্র সরকারি সিল্ক ফ্যাক্টরি ও ডিসপ্লে সেন্টারে আসল হাতবোনা রেশম উৎপাদন করছে, যেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি মাত্র ৩০০ টাকা, যা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।
২০১৭ সালে রাজশাহী রেশম জিআই (Geographical Indication) স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে ৩৩ জেলার ৫৪ উপজেলায় ৪৪.৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে, যার অর্ধেকেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। যদিও পুনর্জাগরণের চেষ্টা চলছে, রাজশাহী রেশমের পুরনো গৌরব ফিরে আসবে কি না তা এখনও অনিশ্চিত।
পাঠকের মন্তব্য