২০২৪ সালের চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ শেষ হচ্ছে ৩৫ জন সাক্ষীর জেরা। মামলার অন্যতম আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন—তিনজনই এই মামলায় অভিযুক্ত। মামুন বর্তমানে কারাগারে, অন্য দুজন পলাতক।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ দশম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে এবং মোট ৪০ জনের মতো সাক্ষী হতে পারে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যে ৫০০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ৫টি মামলায় বিচার চলছে, যেখানে আসামির সংখ্যা ৬২ জন।
বিশেষভাবে আলোচিত একটি ঘটনা হলো সাবেক আইজিপি মামুনের ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে স্বীকারোক্তি। তিনি ট্রাইব্যুনালে জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে তার সম্পৃক্ততা ছিল এবং তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছে।
চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রামপুরায় ছাত্রকে গুলি করে হত্যার মামলায় ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “এই বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয়, সে বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রথমবারের মতো বিচার কার্যক্রম টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে এবং দুটি পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে—একটি ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর, অন্যটি ২০২৫ সালের ৮ মে।
আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও বিচারপতিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। এদের মধ্যে অনেকে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য