সংকটাপন্ন পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগে গতিশীলতা এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সোমবার (১১ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানান, সপ্তাহখানেকের মধ্যে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
একীভূত হতে যাওয়া ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এসব ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের হার (নন-পারফর্মিং লোন) ৪৮ থেকে ৯৬ শতাংশের মধ্যে। সরকার এই ব্যাংকগুলোকে একক, রাষ্ট্রায়ত্ত কাঠামোর অধীনে পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।
অর্থনীতিবিদরা এই পদক্ষেপকে দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখছেন। তবে তারা সতর্ক করে বলছেন, কেবল সংমিশ্রণ বা একীভূতকরণই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না; একটি সমন্বিত কৌশল প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই ব্যাংকগুলো সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসুক। তবে সমস্যার মূল—অনাদায়ী ঋণ—যথাযথভাবে সমাধান করা জরুরি। শুধু একীভূত করলেই হবে না, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এড়াতে হবে।”
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, “ব্যাংকিং হলো বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। যদি বিশ্বাস হারায়, ব্যাংক খাত টিকে থাকতে পারবে না। সরকারকে অবশ্যই শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, একীভূতকরণের জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ দেশের ব্যাংকিং খাতকে সংকট থেকে বের করার দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য