![]()
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি অধ্যায় যোগ হলো। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছে। বুধবার দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম। নিবন্ধন সনদ হাতে নিয়ে দলের নেতৃত্ব জানান—এটি শুধু একটি কাগজ নয়, বরং ‘নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক স্বপ্ন ও দায়িত্বের স্বীকৃতি’।
ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ—নিবন্ধন সনদের ছবি প্রকাশ করে দলের ঘোষণা
এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত পোস্টে জানানো হয়, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন পেয়েছে। সেই পোস্টে নিবন্ধন সনদের ছবিও সংযুক্ত করে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
দলের ভাষ্য—তরুণ নেতৃত্ব, নাগরিক অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার লক্ষ্যেই এনসিপির যাত্রা।
জোট অনিশ্চিত—৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি
নিবন্ধন পাওয়ার আগে ও পরে দলটির নেতৃত্ব জানিয়ে এসেছে—বর্তমানে কোনো জোটে যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তারা স্বাধীনভাবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলের অভ্যন্তরে চলমান প্রস্তুতি জানাচ্ছে—তারা দেশের সকল বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
গণ–অভ্যুত্থানের তরুণদের দল, প্রতীক ‘শাপলা কলি’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বৃহত্তর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন রূপ দেখা দেয়। সেই গণ–অভ্যুত্থানের সম্মুখসারিতে থাকা তরুণেরা পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তরুণদের উদ্যোগে গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—যার নির্বাচনী প্রতীক শাপলা কলি।
তরুণ শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, কর্মজীবী ও বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই দলটি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বলে দাবি দলের নেতাদের।
তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—বাংলাদেশের রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্বের উত্থান এ দেশের গণতন্ত্রে নতুন দিগন্ত খুলতে পারে। বিশেষত কিছু সময় ধরে রাজনৈতিক শূন্যতা ও নেতৃস্থানীয় সংকটের মধ্যে তরুণদের নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এনসিপির নেতাদের দাবি—তারা আদর্শগতভাবে জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুশাসনের পক্ষে কাজ করবে।
একজন সংগঠক বলেন—
“এই নিবন্ধন আমাদের জন্য স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। এখন থেকে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।”
পাঠকের মন্তব্য