![]()
দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর আগমনের প্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নো কওয়াং চোল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হুঁশিয়ারির প্রেক্ষাপট
-
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, শক্তির প্রয়োগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শত্রুর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
-
যে কোনো হুমকি যদি সীমা অতিক্রম করে, তা সরাসরি লক্ষ্যবস্তু হবে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
-
উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যা জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের বাইরে পড়েছে।
-
বুসানে মার্কিন ফিফ্থ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ও ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন পৌঁছেছে।
-
নো কওয়াং চোল অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের পারমাণবিক ও প্রচলিত বাহিনী একীভূত করার ষড়যন্ত্র করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
-
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ দক্ষিণ কোরিয়া সফরে রয়েছেন।
-
তিনি ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড) পরিদর্শন করেছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছেন।
-
হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জোটের লক্ষ্য উত্তর কোরিয়াকে প্রতিরোধ করা।
-
পাশাপাশি, মার্কিন সরকার উত্তর কোরিয়ার ৮ নাগরিক ও ২ প্রতিষ্ঠানকে নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে, সাইবার অপরাধ ও অর্থপাচারের অভিযোগে।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ
-
হুঁশিয়ারিটি দক্ষিণ কোরিয়া–যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক সিকিউরিটি কনসালটেটিভ মিটিংয়ের (এসসিএম) প্রতিক্রিয়ায় এসেছে।
-
পরিস্থিতি কোরিয়ান উপদ্বীপে উচ্চতর রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য