![]()
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি জানান, দেশের মাত্র ১৭ থেকে ২০টি ব্যাংকের সাইবার স্পেস রেটিং সন্তোষজনক। তবে আর্থিক অপরাধ, জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডেটা সেন্টারের ঝুঁকি বর্তমানে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) এবং ইডিজিই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সাইবার ইন ফাইনান্সিয়াল সেক্টর অব বাংলাদেশ: সিকিউরিটি ইন ডিজিটাল ফিউচার” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি, অর্থ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ জোরদারের ওপর জোর দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যাংকের সাথে ডেটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব দেন। সিআইডি প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ জানান, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বড় বাধা তৈরি করছে।
ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা ও করণীয় নিয়ে মতামত উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বক্তারা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেবল ডিজিটাল ভবিষ্যত রক্ষা নয়, বরং জনগণের আস্থা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পাঠকের মন্তব্য