বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশিই গড়ে তুলেছেন ২০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা – তরুণ উদ্যোক্তা এমিল বার এর সাফল্যের গল্প ই-বাংলাদেশ ডেস্ক মাত্র ২২ বছর বয়সে ২০ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি গড়ে তুলেছেন এমিল বার, আর সেই যাত্রা শুরু হয়েছিল কলেজের ডরম রুম থেকেই। পরীক্ষার মাঝে ফান্ড রেইজিং, ক্লাসের ফাঁকে ক্লায়েন্ট মিটিং — এইভাবেই একজন তরুণ ছাত্র ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা। আজ আমরা জানবো কীভাবে এমিল বার এই অসাধ্যকে সাধন করেছেন এবং কী কী শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের জন্য রেখে গেছেন।
তরুণ বয়সের সবচেয়ে বড় শক্তি — ‘হারানোর কিছু নেই’ এমিলের মতে, জীবনের শুরুর দিকে আমাদের কাছে হারানোর তেমন কিছু থাকে না। নেই ঋণ, পরিবার বা চাকরি হারানোর ভয়। এই ‘অসীম ঝুঁকি গ্রহণযোগ্যতা’ তরুণদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে যা অভিজ্ঞ বয়সে অনেকে কল্পনাও করতে পারেন না। এমিল বলেন, “যদি আমার কোম্পানি ব্যর্থ হতো, আমার সর্বোচ্চ ক্ষতি হতো কিছু সস্তা আসবাব বা স্নিকার্স — that’s it!”
বিভিন্ন কাজ নয়, একটি লক্ষ্যেই ‘কনসেন্ট্রেশন’ — তরুণদের জন্য মূলমন্ত্র বেশিরভাগ মানুষ পরামর্শ দেয়—নেটওয়ার্ক তৈরি করো, অনেক অভিজ্ঞতা নাও। কিন্তু এমিল উল্টো পথে হেঁটেছেন। তিনি কলেজজীবনের চারটি বছর শুধু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আর ওয়ার্কফোর্স ডেভেলপমেন্ট নিয়ে গভীরভাবে কাজ করেছেন। এই ফোকাসই তাকে ওই দুটি ক্ষেত্রে নিজ বয়সী সকলের চেয়ে এগিয়ে দেয়।
২০০,০০০ ডলারের ডিল — বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অন্যরকম এক চুক্তি এমিল যখন তার কোম্পানি নিয়ে ব্যস্ত, তখন মায়ামি ইউনিভার্সিটির কাছে একটি চমকপ্রদ প্রস্তাব দেন। প্রতিষ্ঠানটি চাচ্ছিল বাস্তব উদ্যোক্তাদেরকে তাদের প্রোগ্রামের মুখপাত্র বানাতে। এমিল প্রমাণ করেন যে তিনি ক্লাসরুমের চেয়ে বেশি বাস্তব উদাহরণ দিতে পারেন, এবং সেই বিশ্বাসে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ২ লক্ষ ডলার দেয় তাদের প্রতিনিধি হতে। এই ঘটনা থেকে এমিলের শিক্ষা ছিল: “নেগোশিয়েশন মানে শুধু দরকষাকষি নয়, এটা বোঝা — আপনি কীভাবে অন্যপক্ষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হতে পারেন।”
আয় নয়, শিখনই আসল সম্পদ এমিল বলেন, তরুণ বয়সে ধনবান হওয়ার মূল চাবিকাঠি হলো ‘অপশনালিটি’ — অর্থাৎ নিশ্চিত পথ নয়, সম্ভাবনার পথ বেছে নেওয়া। চাকরিজীবন আপনাকে বছর বছর ৩-৫% ইনক্রিমেন্ট দেবে। কিন্তু উদ্যোক্তা জীবনে আপনি হয়ত ২ বছর কিছুই আয় করবেন না, তারপর তৃতীয় বছরেই অর্ধ মিলিয়ন আয় করতে পারেন। এই অনিশ্চিত পথই এমিলকে শিখিয়েছে: • কিভাবে ইনভেস্টরকে বোঝাতে হয় • ভুল নিয়োগ কীভাবে ব্যর্থতা ডেকে আনে • দ্রুত সমস্যা সমাধানের অভ্যাস গড়ে তোলে ভবিষ্যতের বড় সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী করে তোলে
শেষ কথা: সঠিক সময়েই ঝুঁকি নিন এমিলের মতো তরুণ উদ্যোক্তার মতে, ২০-এর দশকে সাহস নিয়ে চেষ্টা না করলে ভবিষ্যতে অনেক সুযোগ চিরতরে হারিয়ে যায়। কারণ তখন হয়তো পরিবার, দায়িত্ব আর ভয় আপনাকে আর সেই ঝুঁকি নিতে দেবে না। তার ভাষায়: “The traditional path will always be there — but the asymmetric opportunities won’t.”
???? আপনার যদি নিজের একটি উদ্যোগ শুরু করার স্বপ্ন থাকে, তাহলে এমিল বার-এর মতো সাহসিকতা দেখান। এখনই সঠিক সময়। ???? EntrepreneurBD-তে আপনার সফল উদ্যোক্তা গল্প পাঠাতে চাইলে আমাদের যোগাযোগ করুন। [email protected]
পাঠকের মন্তব্য