স্টাফ রিপোর্টার
কিশোরগঞ্জ হাওড় অঞ্চলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক এদিকে প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে ধান শুকানোর জায়গায় সংকট সব মিলিয়ে অনেকটায় হতাশ কৃষককেরা।নিরুপাই হয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। কিশোরগঞ্জের হাওর পাড়ের কৃষকেরা জানান চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। তবে ধান শুকানোর স্থান কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ অবস্থায় খাদ্য গুদামের পরিবর্তে নৌকা থেকে কম দামে ভেজা ধান বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। যদিওকৃষি বিভাগ বলছে, ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে নেয়া হবে উদ্যোগ।কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা কৃষক মশিউর জানান, এবছর গুরু ধানের বাম্পার ফল হয়েছে ঠিকই কিন্তু উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং ধান শুকানোর জায়গায় কম থাকায় বাধ্য হয়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে ।একই উপজেলার ধনপুর গ্রামের আরেক কৃষক জহরলাল দাস ভোলেন এবার ফলন হয়েছে ভালোই, কিন্তু ন্যায্য মূল্যে না ফেলে খুব একটা লাভবান হবে না কৃষক ।পরেউপজেলা প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত চামড়াবন্দরের পাইকারি ধানের বাজারে বোরো ফসলকে ঘিরে বেড়েছে ব্যস্ততা। ছোট-বড় নৌকায় করে ধান আনা হচ্ছে নদীর ঘাটে। মেপে মেপে তা তোলা হচ্ছে আড়তে।জেলার বড় বড় হাওরে এরই মধ্যে শেষের পথে ধান কাটা। কৃষকরা বলছেন, ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বেশি। অন্যদিকে হাওরে ধান শুকানোর জায়গা না থাকায় সরকারি খাদ্য গুদামে তা বিক্রি করা যায় না।এতে নৌকা থেকেই ভেজা ধান বিক্রি করতে হয় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা মন দরে। কৃষকদের দাবি, ধান মজুত করার জায়গা নেই। ফলে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেশি হলেও বাজারে মিলছে না ন্যায্যমূল্য। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।ক্রেতা ও আড়ত মালিকরা বলেন, কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যেই ধান কেনা হচ্ছে। তবে ধান ভেজা হওয়ায় দাম কিছু কম মিলেছে।তবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। কিশোরগঞ্জ কৃষি
ReplyForward
|