
গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারকে কেন্দ্র করে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আগামীকাল যে গণহত্যার রায় ঘোষিত হবে, তা ঘিরে দেশে অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। একটি মহল এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নৈরাজ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা নষ্ট করা যাবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
মওলানা ভাসানীর কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং দেশকে কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মধ্যেই তিনি সেই নেতৃত্বের সম্ভাবনা দেখেছিলেন।
ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশের রাজনীতি এখন বিভ্রান্তিকর অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, মামলায় জর্জরিত ও প্রাণ হারিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে, তবে জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সেটার সামঞ্জস্য আছে কি না—তা বলার সময় এখনো আসেনি। গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন, এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়।
সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আর দেরি না করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিন এবং নির্বাচনের পথ সুগম করুন।”
পাঠকের মন্তব্য