![]()
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রোধে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করেছে। কমিশন জানিয়েছে, এক কেজি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ছাড়ালে দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
বাজার পরিস্থিতি
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন,
“কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ১১৫ টাকার ওপরে, অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে দাম ৩০ টাকার মধ্যে।”
কমিশন মনে করছে, সীমিত আমদানি হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমে যাবে এবং ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
আমদানির উৎস
বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি প্রধানত ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারত থেকে মোট আমদানি ৯৯ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও কিছু পরিমাণে আমদানি হয়। গত অর্থবছরে মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ককর প্রযোজ্য।
স্থানীয় উৎপাদন ও বাজারে আসা পেঁয়াজ
গত অর্থবছরে দেশে মোট ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তবে সংরক্ষণ সমস্যা ও নষ্ট হওয়ায় বাজারে এসেছে মাত্র ৩৩ লাখ টন।
পাঠকের মন্তব্য