![]()
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর পক্ষ থেকে নোয়াখালী-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, এবং শরীয়তপুর-১ আসনে মনোনয়ন লাভ করেছেন বীমা শিল্পের সুপরিচিত সংগঠক, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট ও বেস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদ আহমেদ।
মনোনয়ন পাওয়ার পর তারা উভয়েই বিএনপির আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তাদের ভাষায়, এই মনোনয়ন শুধু রাজনৈতিক স্বীকৃতি নয়, বরং জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের নতুন অধ্যায়।
ফখরুল ইসলামের অঙ্গীকার: উন্নয়ন, সুশাসন ও মাদকমুক্ত সমাজ
ফখরুল ইসলাম বলেন,
“নোয়াখালী-৫ আসনের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাসই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।”
তিনি জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি আধুনিক, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ নোয়াখালী নির্মাণে তিনি কাজ করতে চান।
ফখরুল আরও বলেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন নিশ্চিত করা হবে তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের আস্থা ও সহযোগিতায় একটি ন্যায়ভিত্তিক ও স্বচ্ছ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
সাইদ আহমেদের প্রতিশ্রুতি: উন্নত শরীয়তপুর গড়ার যাত্রা
অন্যদিকে সাইদ আহমেদ বলেন,
“শরীয়তপুর-১ আসনের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় দেশের জন্য আরও বড় দায়িত্ব নিতে।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক কাঠামো গঠনে কাজ করবেন।
তার লক্ষ্য—একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং জীবনমান উন্নয়নই হবে তাঁর প্রথম দায়িত্ব।
দায়িত্ব, সততা ও জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি
উভয় প্রার্থীই জানান, এই মনোনয়ন তাদের কাছে বিশ্বাস ও দায়িত্বের প্রতীক।
দলীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় কর্মী এবং সাধারণ জনগণের সহযোগিতা পেলে তারা একটি স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
তারা একযোগে জনগণের দোয়া ও সমর্থন কামনা করে বলেন,
“আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য—সততা, সাহস ও মানবিকতার পথেই এগিয়ে যাব।”
পাঠকের মন্তব্য