![]()
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) থেকে উদ্ভূত আপিলের শুনানিতে আজ এ মন্তব্য করেন তিনি।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়টি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছিল। পরবর্তীতে কোনো রিভিউ ছাড়াই সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আদালতে ঘোষিত রায় পরিবর্তন করেন, যা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গণতন্ত্র চাই, তবে গণতন্ত্রের নামে কোনো মুখোশ চাই না। স্বাধীনতার তিন বছর পরই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।”
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চে শুনানির অষ্টম দিন শেষে আদালত আগামীকাল রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে বিএনপির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতের পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির, এবং পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া শুনানি করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। পরে ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। এরপর একই বছরের ৩০ জুন পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকসহ কয়েকজন ব্যক্তি ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানির অনুমতি (লিভ) মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ গত ২১ অক্টোবর থেকে শুনানি শুরু করে।
এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে তা বাতিলের রায় দেন।
পাঠকের মন্তব্য