![]()
দেশের পুঁজিবাজারের সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচক নিম্নমুখী ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক সূচক ১.০৭ শতাংশ কমে ৫,০৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের সঙ্গে লেনদেনও সামান্য হ্রাস পায়; গতকাল ডিএসইতে ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনের শুরুতে সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও পরবর্তীতে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায় তা ধীরে ধীরে পয়েন্ট হারায়। দিন শেষে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ ২১.৯৫ পয়েন্ট কমে ১,৯৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএসও ১২.৩৬ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ১,০৬৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার।
খাতভিত্তিক লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওষুধ ও রসায়ন খাত ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২.৬ শতাংশ দখল করেছে। যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত (১১.৬%), তৃতীয় অবস্থানে বস্ত্র খাত (১০.৫%), চতুর্থ ব্যাংক খাত (৯.২%) এবং পঞ্চম জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত (৭.৩%)। নেতিবাচক রিটার্ন সবচেয়ে বেশি ৩.৬% জীবন বীমা খাতে এসেছে। অন্যদিকে পাট খাতে ৩.৪% ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স ৪৯.৬ পয়েন্ট কমে ৮,৭৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সব শেয়ার সূচক সিএএসপিআইও ৮৮ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ১৪,২২৬ পয়েন্টে এসেছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
পাঠকের মন্তব্য