লেবাননের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রথম দফায় লেবাননের পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় দুইজনের মৃত্যু হয়। পরে দক্ষিণাঞ্চলীয় নাবাতিয়াহ এলাকায় আরেক দফা হামলায় আরও দুজন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন বৃদ্ধা নারীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ)।
এনএনএর খবরে বলা হয়, বেকা উপত্যকার পার্বত্য এলাকায় সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত কয়েকটি স্থানে একাধিক তীব্র হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হামলাগুলো ছিল “হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক অভিযান।” আইডিএফের ভাষ্যমতে, নাবাতিয়াহ এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্রভান্ডার ও বেকা উপত্যকায় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ওই স্থাপনাগুলো থেকেই সম্প্রতি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, আগেও একই স্থাপনায় একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছিল, তবে এবার হামলার মাত্রা ছিল আরও ব্যাপক।
এদিকে হামলার পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লেবানন সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য