চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন আইটি ভবন কেন্দ্রকে ঘিরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভোটগ্রহণের সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে যে, কিছু ব্যালটপেপার প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া বিতরণ করা হয়েছে।
ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী অভিযোগ করেন,
“আইটি ভবনের একটি কক্ষে স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালটপেপার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু পেপারে অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।”
চবি ছাত্রদলের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল নোমাম বলেন,
“প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একটি দলকে জিতাতে কাজ করছে। এটি ভোটের স্বচ্ছতার ওপর প্রশ্ন তোলে।”
অপর দিকে, ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি অভিযোগ করেন,
“আইটি ভবনের ২১৪ নম্বর রুমে ১৫-২০টি ব্যালটপেপার **স্বাক্ষর ছাড়া বাক্সে ফেলা হয়েছে। স্বাক্ষর ছাড়া কেউ পেপার ফেলে যেতে পারবে না। আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করেছি এবং এজেন্টদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মনির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,
“চাকসু নির্বাচনের জন্য অমোচনীয় কালি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালেট গ্রহণের ঘটনা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নির্বাচন চলাকালীন এই অভিযোগ ও বিতর্ক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে স্বাক্ষরযুক্ত ব্যালটপেপার ও যথাযথ নজরদারি অপরিহার্য।
চাকসু নির্বাচন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীরা আশা করছে, কোনো প্রকার অনিয়ম বা স্বচ্ছতার অভাব নির্বাচনের ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলবে না।