ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
তিনি ১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, মাতা: রাবেয়া খাতুন। অধ্যাপক মনজুরুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
গত শুক্রবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যাওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন। পরে হৃদযন্ত্রে রিং প্রতিস্থাপন করা হয়। শনিবার থেকে শারীরিক অবস্থা অবনতির পথে থাকায় রোববার সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে থাকার পর কিছুটা উন্নতি হলেও আজ বিকেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষাজীবনে তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক, ১৯৬৮ সালে এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। অবসরের পর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউল্যাব) যুক্ত হন।
প্রাপ্ত সম্মাননায় ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে একুশে পদক উল্লেখযোগ্য। তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমান।
লিখিত কাব্য ও গল্পের মধ্যে রয়েছে: স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প, থাকা না থাকার গল্প, কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প, অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প, প্রেম ও প্রার্থনার গল্প, সুখ দুঃখের গল্প। উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে: আধখানা মানুষ্য, দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক, ব্রাত্য রাইসু সহযোগে, কানাগলির মানুষরা।
পাঠকের মন্তব্য